কতৃত্ববাদী শাসনের অবসানসহ একটি গনতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণে রাজনৈতিক দলের সংস্কৃতিতে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। রাজনৈতিক দলের সকল স্তরের নেতৃত্ব দলের সদস্যদের গোপনে ব্যালটে নির্বাচিত করা, আর্থিক লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলে পরিচালনা করা, দলের আয়ব্যয়ের অডিটেড হিসাব প্রকাশ করা এবং প্রার্থী মনোনয়নে প্যানেল তৈরি করা জরুরী।
‘সচিতন, সংগঠিত ও সোচ্চার জনগোষ্ঠিই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ’ মূল প্রতিপাদ্যে শনিবার সুশাসনের জন্য নাগরিক(সুজন) টাঙ্গাইল জেলা শাখা আয়োজিত এক নাগরিক গোল টেবিল বৈঠকে এসব দাবি জানানো হয়।
' সুষ্ঠু নির্বাচন ও গনতান্ত্রিক উত্তরণ: নাগরিক ভাবনা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সুজন টাঙ্গাইল শাখার সহসভাপতি প্রবীন নাগরিক হারুন অর রশীদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন এডভোকেট আব্দুল গনি আল রুহি। স্বাগত বক্তব্য দেন সুজন টাঙ্গাইল জেলা শাখার সহসভাপতি অধ্যাপক বাদল মাহমুদ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন সুজন ময়মনসিংহ জেলা শাখার সম্পাদক ইয়াজদানী কোরায়শী, সুজন বৃহত্তর ময়মনসিংহের আঞ্চলিক কর্মকর্তা জয়ন্তী কর, সুজন ভূঞাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক মির্জা মহিউদ্দীন আহমেদ, প্রবীন আইনজীবী বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা মিয়া, দৈনিক ইত্তেফাকের ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন, সুজন টাঙ্গাইল জেলা শাখার সম্পাদক অধ্যাপক তরুন ইউসুফ, ড. আলী রেজা, ড. আব্দুল জলিল, দৈনিক প্রগতির আলোর সম্পাদক আনোয়ার সাদৎ ইমরান, কাশিনাথ মজুমদার পিংকু, আব্দুল আওয়াল, শরিফুল ইসলাম ভূইয়া, সাংবাদিক শাকিল আনোয়ার, আবুল কাশেম, আশীষ কুমার ভাদুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা আরও বলেন, রাজনীতিবিদরা পরাজিত হলে আমরা নাগরিকরা পরাজিত হই। কারণ আমরাই ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচন করি। তারা নির্বাচিত হয়ে জনকল্যাণের পরিবর্তে অকল্যাণে লিপ্ত থাকে। অনেকে চার বছর লুটপাট করে পঞ্চম বছরে এসে আবার কল্যাণকর কাজে লিপ্ত হয়। আবার নির্বাচিত হওয়ার প্রয়োজনে। এমন অবস্থার পরিবর্তনের জন্য প্রত্যেককে মূল্যবোধ সম্পন্ন ও দায়িত্ববোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
গোলটেবিল বৈঠকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গনতান্ত্রিক উত্তরনে চারদফা মৌলিক দাবি উত্থাপন করা হয়।