দেশের জনপ্রিয় কন্টেনক্রিয়েটর আল আমিন (৩৮) অগ্নিদগ্ধ হন। তাঁকে উচ্চ চিকিৎসার জন্য শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে। শীতের দিনে আগুন দিয়ে শীত নিবারণের একটি শুটিং করতে গিয়ে দারিয়াপুর মোড়ের এলাকায় শুক্রবার (২৮ নভেম্বর/২৫) সকালে এ দুর্ঘটনার শিকার হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথম ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন তার শুভাকাঙ্খী কন্টিনক্রিয়েটর ওয়াসিকুর রবিন। তিনি জানান, শুক্রবার দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পরে দেখা যায় শরীরের পিঠের অংশে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আজকে তার ক্ষতচিহ্ন আর দেখা গেছে। আমরা তার জন্য সকলের নিকট দোয়া চাই।
আরেক ভক্ত গৌরীপুর সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জিকু সরকার জানান, জনপ্রিয় ফানি কন্টেনক্রিয়েটর আল আমিন ভাইয়ের শরীরের ৩৫-৪০শতাংশ পুড়ে গেছে। তার সুস্থ্যতার জন্য সকলের নিকট দোয়া চাই।
কন্টেনক্রিয়েটর আল আমিন এর বর্তমান ফলোয়ার রয়েছে একটি আইডিতে ৪.৬ মিলিয়ন। শুক্রবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আনন্দ দেয়ার জন্য ধারণকৃত ভিডিওটি ‘এমন ভিডিও করা থেকে সবাই সতর্ক থাকবেন’ লিখে শনিবার সকাল ১০টা ৩১ মিনিটে তার ফেসবুকে আপলোড করেন। সেই ভিডিওটি ৪৫ হাজারের বেশি নেটিজেন এতে প্রতিক্রিয়া জানান। মন্তব্য করেন দুই হাজারের উপরে এবং শেয়ার করেছেন ২৩৬জন।
কন্টেনক্রিয়েটর হারুন মিয়া জানান, অত্যন্ত পরিশ্রমী ও নূতত্বের কারণে আল আমিন ভাই দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে একটু বিনোদন দেয়া জন্য কাজ করতে গিয়ে আজকে দুর্ঘটনার শিকার হন। তিনি যেনো দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেন এবং এ ধরণের কাজ করার পূর্বে সবাইকে সতর্ক থাকারও অনুরোধ জানাচ্ছি।
তিনি উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের দারিয়াপুর গ্রামের মনহর আলীর পুত্র। ভিডিও থেকে প্রাপ্ত অর্থে তিনি প্রতিবছর পবিত্র ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য, বস্ত্র ও আর্থিক সহযোগিতা করেন। এছাড়াও অসহায় পরিবারকে ঘর করে দেয়া। অর্থাভাবে থাকা দরিদ্র শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা তার কাজের নিয়মিত অংশ। সমাজ উন্নয়নেও কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
নিজে কন্টেনক্রিয়েটর হয়ে বসে থাকেন তিনি আল আমিন। তার হাত ধরে গৌরীপুর ও পাশ^বর্তী এলাকায় আরও অর্ধশত যুবক এ কাজে সাফল্যের সন্ধান পান। বৃহত্তর ময়মনসিংহের অসংখ্য কন্টেন ক্রিয়েটারের অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন আল আমিন।